কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ কলাপাড়া পৌরশহরে রাতে কিংবা খুব ভোরে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নারীদের রাস্তায় হাটাচলা বন্ধ হয়ে যাাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অধিকাংশ নারীরা একা একা হাঁটা বন্ধ করে দিয়েছেন। মাত্র সর্বোচ্চ বিশ দিনে এমন অবস্থা হয়েছে। রাতে নারীরা বাসা সংলগ্ন সড়কে হাঁটতে গিয়ে ১৩/১৪ জন বখাটের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এসব বখাটেরা চলন্ত মোটরসাইকেলে পিছন কিংবা সামনে থেকে এসে পথচারী নারীর গলায়, হাতে কিংবা শরীরের অপর কোন অংশে থাবা দিচ্ছে। প্রথমত এদের টার্গেট নারীদের গলায় থাকা স্বর্ণালঙ্কার।
এদের অতর্কিত থাবার শিকার হওয়া একাধিক নারী জানান, তারা এতিমখানা, কবি নজরুল ইসলাম, মঙ্গলসুখ, আখড়াবাড়ি সংলগ্ন উপজেলা সড়কে, মুসলিমপাড়া, সবুজবাগ মহল্লায় হাটাচলা করতে গিয়ে বখাটে থাবা পার্টির শিকার হয়েছেন। বখাটে এসব চক্রের উপদ্রবকে শ্লীলতাহানির পর্যায় বলে মনে করছেন শিকার হওয়া নারীরা। গত বিশ দিনে অন্তত ১৩ নারী এ চক্রের থাবার কবলে পড়েছেন। ভীতিকর পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেকে চিৎকার দিলেও ততক্ষণে মোটরসাইকেলে আসা বখাটেচক্র সটকে পড়ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নারী বিষয়টি নিয়ে নিজেকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। স্থানীয় পৌরবাসীর অনেকের অভিযোগ সবুজবাগের মোড়ে এমবি কলেজের পিছনের চৌরাস্তায়, কবি নজরুল ইসলাম সড়কের খাস পুকুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি এ চক্রের আনাগোনা। গভীর রাত পর্যন্ত সবুজবাগের মোড়ে কলেজের পিছনে একটি চক্রের আড্ডা বসে। প্রকাশ্যে এরা ইয়াবা সরবরাহ করছে বলে লোকজনের অভিযোগ। এমনকি করছে সেবন। এরাই নির্বিঘœ পরিবেশের শহরকে অশান্ত এবং বসবাস অনুপযোগী করে ফেলছে। পুলিশ প্রশাসনসহ আইন প্রয়োগকারী একাধিক সংস্থা এসব চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় কিন্তু এদের অপকর্ম থামছেনা। ইয়াবা সেবন ও কারবারি এ চক্রের কারণে পৌরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। নারীরা এখন সড়কে চলাচলকে অনিরাপদ মনে করছেন। কলাপাড়া থানার ওসি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তারা কৌশলী পন্থায় এই গ্রুপকে শণাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন। তবে সকলকে সহায়তা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
Leave a Reply